সস্তায় সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার হিসেবে ডিমের জুড়ি মেলা ভার, অমলেট হোক বা সিদ্ধ সুস্বাদু ডিমে রয়েছে অজস্র গুণ। ডিম প্রোটিনের খুব ভালো উৎস। ডিমের মধ্যে উচ্চ মাত্রায় প্রোটিন থাকার কারনে এটি বাড়ন্ত শিশুর জন্য খুবই উপকারি। ডিমে রয়েছে ভিটামিন বি, ওমেগো – ৩, ফ্যাটি এসিড, ভিটামিন ডি, ফোলেট, জিংক আয়রন ও সিলিয়াম। এসব উপাদান শিশুদের বৃদ্ধিতে সহায়ক।
এছাড়া ডিমের কুসুমে কোলা ইন থাকে যা শিশুর স্মৃতিশক্তি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মস্তিষ্কের গভীরে স্মৃতিকোষ তৈরী করতে কোলাইন থাকে। একটি শিশুর আট বছর পর্যন্ত যেটুকু কোলাইন প্রয়োজন তার সমপরিমাণ পুষ্টি একটি ডিমের কুসুমে থাকে। সম্প্রতি ইকুয়েডরের গবেষকরা প্রায় ৬ মাসের গবেষণার পর প্রমান পেয়েছেন, অপুষ্টিতে ভোগা শিশুরা দ্রুত লম্বা হয় ডিম খেলে।গবেষনায় আরো দেখা গিয়েছে ডিম না খাওয়া শিশুদের তুলনায় ডিম খাওয়া শিশুদের বৃদ্ধি ৪৭ শতাংশ বেশি হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, ৫ বছরের নিচে বিশ্বের প্রায় সাড়ে ১৫ কোটি শিশু অপুষ্টিজনিত কারনে খর্বকায় হয়ে আছে। শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যহত হয় প্রধানত অপুষ্টি জনিত কারনে। সুতরাং, শিশুর বৃদ্ধির বিকাশ এবং পেশিসমূহের বৃদ্ধির জন্য প্রতিদিন ডিম খাওয়ানোর অভ্যাস করতে হবে। এটির বিকল্প কিছুই নাই৷
Discussion about this post