নাকে রক্ত দেখলে আমরা কিন্তু ভয় পাই। একটা শিশুর রক্ত পড়া, আর একটা অ্যাডাল্টের রক্ত পড়া দুইটার মধ্যে পার্থক্য আছে। জেনারেলি একটা শিশুর নাক দিয়ে রক্ত পড়তে পারে, এমনিই পড়তে পারে ৮০% কোনো কারণ লাগে না। অনেক বাচ্চাদের সর্দি থাকে, ঠান্ডা থাকে, নাক চুলকায়, নাক খোচায় এটা থেকে রক্ত পড়তে পারে। কারণ নাকের ভিতর দুইটা ছিদ্র আছে চ্যাপ্টা। এটাকে এন্ট্রিইনফেরিরিয়াদনো নোজ বলে।
নাক হলো নিশ্বাস নেওয়ার জন্য, গন্ধ নেওয়ার জন্য, রেসপিরিশনের জন্য। আর আল্লাহ যেই স্ট্রাকচার গুলা দিয়েছে, যে টারমিনেট আদার্স দিয়েছে কিন্তু এই যে, আমরা নিশ্বাস নেই এই টারমিনেট গুলো এই ভাসকুলার কেপেলারি বড় হয়ে যায়। তো নিশ্বাসকে গরম করে প্লাস এইখানে কিন্তু পানি ছাড়ে হিমিডিপেকেশন। তো যে বাতাশ আমরা নেই ওইটাকে কিন্তু একদম পিউরিপাইড হিমিডিপাইড করে নাকে নেই।
সো এখানে ভাসকুলারিটিজ ভেরী রিচ। সেটা ভাসকুলার প্লেকজাত রিচ যা রক্ত ফুলিয়ে বড় হবে। মানুষরা এসেই বলে আমার নাকের গুটিগুলা বড় হয়েছে, মাংস বড় হয়েছে। এটা দিচ ইজ দা টারমিনেটস, দিচ ইজ দা প্রোটেকটর অব নোজ নাকের বড়র কিছু না। সো এটা দেখলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই এটা পরিপ না। এটা আপনার প্রোটেকটর, এটাই আপনার নিশ্বাসকে গরম করে এবং নিশ্বাস রেসপ্রিরটাকে পিউরিপাইড করে।
বাচ্চার এমনিই প্রায়ই ঠান্ডা থাকে সো সিক্রেশন জমে যায়। নাকের একটা মুভমেন্ট আছে যেটা ন্যাজোস্যালারীমোকে মেকানিজম।
প্রতি পনেরো মিনিটে এটাকে সব সিক্রেশন বিট করে গলার পেছনে নিয়ে যায় লাঙ্গেরও মুভমেন্ট আছে এগুলো উপরে বিট করে, দেখবেন প্রত্যেকটা মানুষ সারাদিন কিন্তু খায় না, শুধু ঢোক গিলে। ঢোক গিলার কারনটা হলো ওই যে গলার মধ্যে যে সিক্রেশন নাকের এবং গলার কাছে ওইটাকে আমরা গিলে পেলি স্টমাকে চলে যায়। তো নাকে কি হলোঃ
ব্লিডিং কেনো হয়?
ঠান্ডা লাগে, স্ট্যাগনেশন হয়, পানি জমে যায়, হাঁচি হয়, কাশি হয়, ইচিং হয় চুলকায়, চুলকানোর জন্য নাক খোচায় এইটা হলো মেইন অভ্যাস। প্লাস এলার্জিতে কিছু প্রদাহ তৈরী হয়। তো ভয় পাওয়ার কিছু নেই। যদি বেশি রক্ত পড়ে তাহলে নাকটা চেপে ধরবেন, বাচ্চারা যারা আছে তাদের হা করে শ্বাস নেওয়াবেন। সাত থেকে আট মিনিট, দশ মিনিট পর্যন্ত রাখলে ভালো হয়। মেক্সিমাম হয়ে যাবে, না হলে ডাক্তার দেখাবেন। উনি দেখবেন কোথা থেকে ব্লিডিং হয়।
এই ব্লিডিং এমনেই বন্ধ হতে পারে অথবা কিছু মেকানিজম লাগে। এটাকে ট্রিটমেন্ট অব দা কজ বলে। সেটা যদি ঠান্ডার কারনে হয়, সর্দির কারনে হয় সেটা চিকিৎসা করলেই ভালো হয়ে যাবে।
স্পেশালী নেয় এডাল্ট, আমরা মনে করি চল্লিশের উর্ধ্বে কোনো লোকের যদি অনেক ব্লিডিং হয়, রক্ত পড়তে থাকে তাহলে বুজতে হবে হাইপারনেস। যদি উনার প্রেসার থাকে এবং উনি কোনো ঔষধ খান তবে আন্টিল প্রুব ব্রাদার ওয়াইজ, এই প্রেসার হলো তার নাকের ব্লিডিং হওয়ার কারণ। এইটা পেছন থেকে ব্লিডিং হয়, সিবিয়ার ব্লিডিং হয়। তাহলে অবশ্যই ডাক্তার দেখাতে হবে, ব্লিডিং গুলো বন্ধ করতে হবে।
বিভিন্ন পদ্ধতি আছে। ন্যাজোয়ান অ্যান্ডাস্কোপ, বিউটিফুল ইনস্টুমেন্ট আছে। দেখা যায় ছোট ব্লিডিং পয়েন্ট, এটাকে কটারি করা যায়। কখনো কখনো আমরা এক্সরে করি, আদার পরিক্ষা করি, রোগীকে ভর্তি করি, যদি কারণ থাকে কারনের চিকিৎসা করি। রক্ত সিবিয়ার যদি ব্লিডিং হয় তখন ব্লাড ট্রান্সলেশন করতে হবে। কখনো কখনো সিম্পল এক্স থেকে সিটিস্ক্যান করি।
ব্লিডিং দেখে ভয় পাওয়ার কিছুই নেই। ব্লিডিং বন্ধ করা প্রত্যেকটা মেকানিজমে আমাদেরও দেশে ইয়েন্ট্রি চিকিৎসা করতে পারে। দেখলেই ভয় পাওয়ার কিছু নেই কিন্তু চল্লিশের উপরে যদি সিবিয়ার ব্লিডিং হয় তাহলে বুজতে হবে আাইদার হাইপার টু কন্ট্রোল হাইপার টেনশন অথবা উনি কোনো ধরনের ঔষধ খান এগুলা একটা কারণ। সো ওই ঔষধগুলা বন্ধ করে দেন, ডাক্তার দেখান, প্রেশারের কন্ট্রোল নেন। প্রেশার কন্ট্রোল থাকলে নাকও কন্ট্রোল থাকবে। ব্লিডিং দেখলে আমরা নাকে প্যাক দেই, বিভিন্ন টাইপের প্যাকসার এবেলএবল বাকি চিকিৎসা করে ওইটা চিকিৎসা করা সম্ভব।
যদি মাথা ব্যাথা থাকে, সাইনোসাইডিজ আছে কিনা, যদি হাঁচি কাশি থাকে, এলার্জিক স্কাইনাইটিজ আছে কিনা, যদি হা করে ঘুমায় বাচ্চার পেছন দিকে রিনয়েড আছে কিনা, নাক বন্ধ থাকে, নাকে পলিপ আছে কিনা এগুলা সব ন্যাজোএন্ডোস্কোপিতে দেখা সম্ভব এবং এগুলার চিকিৎসার সব কিছু উন্নত বিশ্বের মতো আমাদের দেশে সম্ভব। সো নাকে রক্ত পড়লে ভয় পাবেন না। ইমিডিয়েট কাজ হলো বাচ্চার যদি হয় নাকটা চেপে ধরবেন। মেক্সিমাম এইটি টু নাইনটি পার্সেন্ট বন্ধ হয়ে যাবে। দশ মিনিট নাকের উপর বরফ ঠান্ডা পানি রাখবেন।
এডাল্টের হলে তুলা দিয়ে নাকে টাইট দিয়ে ডাক্তারের কাছে পাঠান, চিকিৎসা নেন, তাহলেই ভালো থাকবেন। ইভেন এক্সিডেন্টলি নাক ভেঙে যেতে পারে। ইমিডিয়েট আপনাকে ব্লিডিং থামাতে হবে।
সেই জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নেন, সুস্থ থাকুন।
প্রফেসর ডাঃ কামরুল তরফদার
এফসিপিএস, এফআইসিএস, এফআরসিএস (ইংল্যান্ড)
নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ সার্জন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল ইউনিভার্সিটি শাহবাগ, ঢাকা।
চেম্বারঃ তাকওয়া স্পেশালাইজড হসপিটাল
নিউ ইস্কাটন রোড, ঢাকা ।
সিরিয়ালঃ ০১৮১০-০১৭৮২০
Discussion about this post