ব্রেইনের যেকোন অংশের যদি হঠাৎ করে রক্তচলাচল বন্ধ হয়ে যায়, অথবা রক্ত ক্ষরনের অথবা রক্তক্ষরণ হওয়ার কারণে ব্রেইনের একটা অংশ যদি অচল বা অক্ষম হয়ে যায়, তখন শরীরের এক পাশ এক হাত এক পা অথবা শুধু একটা হাত অথবা শুধু একটি পা অবশ হয়ে যায় তাই স্ট্রোক।
বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতি চারজনের মাঝে একজন স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। বর্তমানে অনেক বেশি মৃত্যু হচ্ছে স্ট্রোক এর কারনে। পৃথিবীতে পঙ্গুত্বের একমাত্র কারণ হলো স্ট্রোক। মৃত্যু ঝুঁকির দ্বিতীয় কারণ হলো স্ট্রোক। বাংলাদেশে এর ব্যাপকতা প্রতি হাজার ১১.৪০। কিন্তু আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ৬ এর আশেপাশে।
স্ট্রোক অনেকে ভুল করে মনে করে হার্টের রোগ স্ট্রোক মূলত ব্রেইনের রোগ হার্টের রোগ নয় ।
স্ট্রোক হলে কিভাবে বুঝবো….
এটা আমাদের মা বাবার হতে পারে ভাই বোনের কিংবা আত্মীয় স্বজনের হতে পারে তখন আমরা যেভাবে বুঝবো
এটা ইংরেজি ছোট্ট একটা শব্দের মাধ্যমে মনে রাখা যেতে পারে …
[ BEFAST ]
B- Balance যখন ব্যালেন্স হারিয়ে ফেলে মস্তিষ্ক কাজ করেনা তখন বুঝবো যে স্ট্রোক করেছে।
E- Eye হঠাৎ করে কেউ যদি চোখে দেখতে না পায় কিংবা কোন একটা চোখ অন্ধের মত হয়ে যায় তখন আমরা তখন বুঝবো যে স্ট্রোক করেছে।
F-Face কারো যদি হঠাৎ করে মুখের একটা অংশ বেঁকে যায় অবস অথবা ঝুলে যায় আমরা তখন বুঝবো যে স্ট্রোক করেছে।
A- Arm Draf হঠাৎ করে কারো হাত যদি অবশ হয়ে যায় এক হাত এক পা যদি অবশ হয়ে যায় তখন আমরা তখন বুঝবো যে স্ট্রোক করেছে।
S- speech কেউ যদি কথা বলতে পারেনা কতজা ঝরে যায় তখন আমরা তখন বুঝবো যে স্ট্রোক করেছে।এছাড়াও হঠাৎ করে কেউ যদি বোমি করা শুরু করে।
T – Time কেউ যদি স্ট্রোক করে তাহলে তার শরীর থেকে প্রতি মিনিটে ১৯ লক্ষ নিউরন মারা যায় এইজন্য টাইম কে বেশি গুরূত্ব দেয়া হয়। রোগীকে অতিসত্বর আশেপাশের হাসপাতালে চলে আসা উচিৎ অথবা একজন নিউরোলজিস্ট এর কাছে আসা ।
যদি চার ঘন্টার মধ্যে রোগীকে হাসপাতাল বা নিউরোলজিস্ট এর করা হয় তাহলে তাকে একটি থম্বোলাইজিস্ট ইঞ্জেকশন দেয়া যায় যার মাধ্যমে রোগী সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং অবস হওয়া থেকে বাঁচার সুযোগ থাকে।
স্ট্রোক প্রতিরোধের উপায়…
এর প্রধান মাধ্যম হলো প্রধান মাধ্যম হলো অলসতা দূর করতে হবে। অতঃপর হাঁটাহাঁটি বেশি কর, বাসার কাজ করা,নিজের জামাকাপড় নিনে ধোয়া,নিজের সমস্ত কাজ নিজে করা,অফিস বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মোটামুটি কাছে হলে হেঁটে যাওয়া,ধুমপান থেকে বিরত থাকতে হবে,রাতে ভালোভাবে ঘুমানো এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, দুপুরে একটু বিশ্রাম নেয়া,তৈলাক্ত খাবার পরিহার করা।
স্ট্রোক প্রতিরোধ করার প্রায় সকল মাধ্যম এখন বাংলাদেশে রয়েছে …
যেমন থম্বোলাইসিস,ইন্টারভেনশন, ডিজিটাল সাবস্টেকশন জিওগ্রাফি,ক্লিপিং,সার্জিক্যাল ক্লিপিং,কয়েলিং,আর্টারিয়াল থম্বোলাইসিস ইত্যাদি।
অধ্যাপক ডাঃ এম.এস জহিরুল হক চৌধুরী
অধ্যাপক (ক্লিনিক্যাল নিউরোলজি)
Discussion about this post