বেশির ভাগ মানুষই এই সমস্যা পড়ে, অনেক ঔষধ, মলম, লতাপাতা ভেষজ খেয়ে এবং ব্যবহার করেও এই দাঁদ থেকে মুক্তি পাওয়া যাচ্ছে না, একবার ভালো হচ্ছে কিছুদিন পর আবার ফিরে আসছে, আজ সেই সম্পর্কে আলোচনা করা হবে, কেন এটি ভালো হচ্ছে না?
বেশিরভাগ রোগীরা ডাক্তারের কাছে না গিয়ে ঔষধের দোকানে গিয়ে ঔষধ খায় অথবা আরেকজনের প্রেসক্রিপশন দেখে ঔষধ খায় তারপর যদি পরিস্থিতি হাতের বাহিরে চলে যায়, তখন ডাক্তারের কাছে যায়। তখন দেখা যায় কয়েক ধরনের ঔষধ খাওয়ার ফলে ডাক্তার যে ঔষধ দেয় সেটি ঠিকমতো কাজ করেনা। তাই রোগীর কাছে পরামর্শ হলো রোগ দেখা দেওয়ার সাথে সাথে ডাক্তারের কাছে যাওয়া।
প্রথমত
অনেক রোগী এসিড জাতীয় মলম ব্যবহার করে, তারা স্টরয়েড জাতীয় ঔষধ সেবন করেন, এই কাজটি করা যাবেনা, এটি দাঁদ ভালো না হওয়ার একটি কারন।
দ্বিতীয়ত
ডাক্তার আপনাকে ঔষধ দিলো আপনি ঔষধ ঠিকমতো খেলেন না, ২/৩ ডোজ খেয়েছেন আর যখন দেখলেন ভালো হয়ে গেছে তখন আর পুরো ডোজ শেষ করলেন না, সাধারনত ডাক্তাররা ৩-৬ সপ্তাহ পর্যন্ত দাঁদের ঔষধ দিয়ে থাকেন। যখন পুরো ডোজ শেষ না করে বন্ধ করে দেয় তখন আবার কিছুদিন পর দাঁদ ফিরে আসে।
তৃতীয়ত
দাঁদ বা ছত্রাক এর সংক্রমন কিন্তু ছোঁয়াচে, একজনের থেকে পরিবারের অনেকের হতে পারে। তখন দেখা যায় যার বেশি মারাত্নক হয় সে চিকিৎসা নেয় বাকীরা নেয়না, এটির ফলে দেখা যায় আপনার চিকিৎসা নেওয়ার পর ভালো হয়ে আবার পরিবারের অন্যজনের থেকে আবার হতে পারে। তাই যাদের দাঁদ হয়েছে সবার একত্রে চিকিৎসা নিতে হবে।
চতুর্থত
একজনের কাপড় আরেকজন ব্যবহার করা। বা একই বিছানা একই টাওয়াল ব্যবহার করা।আর দাঁদ রোগীর পরিধেয় বস্ত্র আলাদা রাখতে হবে৷
পঞ্চম
অনেকের আবার দাঁদের সাথে আরো অনেক রোগ আছে ফলে তাদের অন্যান্য ঔষধ খেতে হয়। যেমন অ্যাজমা রোগীকে স্ট্ররয়েড জাতীয় ঔষধ খেতে হয় এই সমস্ত ঔষধের কারনে দাঁদ রোগীর ঔষধ ঠিকমতো কাজ করে না, তাই ডাক্তারকে জানাতে হবে আপনার আর কি রোগ আছে, তখন চিকিৎসক সেভাবে ঔষধ দিবে।
শেষকথা
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি সেটি হলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, জামাকাপড় প্রতিদিন সঠিক নিয়মে ধুতে হবে, যারা অতিরিক্ত ঘামেন তাদের দাঁদ একটু বেশি হয়, তাই খেয়াল করতে হবে যেন বেশি না ঘামেন। ঠান্ডা পরিবেশে থাকার চেষ্টা করবেন৷ ডায়াবেটিস রোগীদের দাঁদ বেশি হয়, ডায়াবেটিস ঠিকমতো কন্ট্রোলে না রাখলে দাঁদ ভালো হবে না৷
Discussion about this post